শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গার্মেন্টস ব্যবসায়িদের নিঃস্ব করে কোটি টাকা প্রতারণা করে লাপাত্তা কৃষক লীগ নেতা হান্নান শেখ! টাকার বিনিময়ে বিদ্যুতের তার খাম্বা মিটার এনে দেন ইলেকট্রিশিয়ান জুলিয়ান!
পদক্ষেপ নিয়েও কাটছে না লাইটারেজ জাহাজের সংকট

পদক্ষেপ নিয়েও কাটছে না লাইটারেজ জাহাজের সংকট

নানা পদক্ষেপ নিয়েও চট্টগ্রাম বন্দরে লাইটারেজ জাহাজের সংকট কাটছে না। ফলে একদিকে যেমন বাজারে আমদানিকৃত পণ্যের সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে বহির্নোঙ্গরে মাদার ভ্যাসেলের জট দেখা দেয়ায় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে শিপিং ব্যবসায়ীদের।

একই সাথে কিছু কিছু আমদানিকারক স্থায়ী গুদামের পরিবর্তে নদীতে ভাসমান লাইটারেজ জাহাজকে গুদাম হিসাবে ব্যবহার করায় এই সংকট সৃষ্টি হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

বিশাল আকৃতির মাদার ভ্যাসেলের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আমদানিকরা চাল, গম, ডাল, পাথর, সিমেন্ট ক্লিংকারসহ কার্গো পণ্য মূলত বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে লাইটারেজ জাহাজে খালাস করা হয়। বর্তমানে যে পরিমাণ আমদানি পণ্য নিয়ে মাদার ভ্যাসেল বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে অবস্থান নিচ্ছে, কিন্তু সে অনুযায়ী লাইটারেজ জাহাজ পাচ্ছেন না আমদানিকারকরা।

বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল কো কনভেনার শফিক আহমেদ, লাইটারের সংকট থাকলে আমাদের আমদানিকারকদের ক্ষোভ বাড়ে আমাদের ওপর।

চট্টগ্রাম বন্দরে আসা মাদার ভ্যাসেলগুলোকে ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে পণ্য খালাস করে বন্দর ছাড়তে হয়। কিন্তু লাইটারেজ সংকটের কারণে মাদার ভ্যাসেলগুলোকে দিনের পর দিন বর্হিনোঙ্গরে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, লাইটার সংকটের কারণে আমাদের মাদার ভ্যাসেলের ক্ষতিপূরণ দিতে হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর বার্থ অপারেটর অ্যাসোসিয়শেন চেয়ারম্যান ফজলে একরাম চৌধুরী বলেন, আমাদের যথেষ্ঠ ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বিষয়টা নিয়ে।

চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি ১শ ২২টি জাহাজের মধ্যে বর্হিনোঙ্গরেই রয়েছে ১০৫টি। এর মধ্যে ৪৯টি জাহাজ থেকে পণ্য খালাস চললেও বাকি ৫৬টি জাহাজ অপেক্ষায় রয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সদস্য (পরিকল্পনা ও প্রশাসন) মোহাম্মদ জাফর আলম বলেন দীর্ঘদিন এই জাহাজের বন্ধ ছিলো।

সাড়ে তিন হাজার লাইটারেজ জাহাজ নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের নিবন্ধিত হলেও এর অর্ধেক বর্তমানে সচল। আমদানিকাদের একটি অংশ লাইটারেজ জাহাজকে গুদাম হিসাবে নদীতে ব্যবহার করায় এ সংকট বলে মনে করছেন এই শিপিং ব্যবসায়ীরা।

কমপক্ষে ৬০টি লাইটারেজ জাহাজ থাকলে বৈঠকের মাধ্যমে পণ্য খালাসের জন্য জাহাজ বরাদ্দ দেয় বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল। প্রতিদিন জাহাজ বরাদ্দের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও লাইটারেজ জাহাজ সংকটের কারণে বর্তমানে দু’ থেকে তিনদিন পর পর বৈঠক হচ্ছে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com